
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ নিউজ, বিশেষ প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বিশ্ব বন্ধু। ১৯৭১ যুদ্ধ পরবর্তি বিধ্বস্ত বাংলাদেশ নতুন করে গড়ে তুলতে বিশ্ব ভ্রমণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসায় বিদেশি বন্ধুর সাথে গড়ে তুলেছিলেন ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধন। বিদেশি বন্ধুদের সাথে এ ভালোবাসার বন্ধন যা আজো অটুট হয়ে আছে।
লন্ডনের সিডনি স্ট্রিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নান্দনিক আবক্ষ ভাষ্কর্যটি ঘিরে বিদেশি বন্ধুদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার দৃশ্যই মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতা পরবর্তী বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিদেশি বন্ধুদের অকৃত্রিম ভালোবাসার আর শ্রদ্ধার মুহুর্তগুলো।
সিডনি স্ট্রিট, পূর্ব লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেটে স্থাপিত বিশ্ববন্ধু’র আবক্ষ ভাষ্কর্য ঘিরে বিদেশি বন্ধুদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মুহুর্তগুলোর ছবি তুলে আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর একক উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ১১দিন ব্যাপি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপ্ত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত থেকে আলোকচিত্র প্রদর্শনী “শ্রদ্ধা” পরিদর্শন করেন।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব ড. নাসির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদল্লাহ আল মামুন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার সভাপতি নাসির আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন সংসদের সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক শাকিল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার ১৫ই মার্চ, ২০২২ থেকে শুরু হয়ে এ প্রদর্শনীটি ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১১দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বাঙালি জাতি ও বিদেশিদের শ্রদ্ধা আর সম্মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন বিশ্ববন্ধু। আর বিশ্ববন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হচ্ছে লন্ডনে তাঁর এই আবক্ষ ভাষ্কর্য স্থাপন।
প্রধান অতিথির দেয়া বক্তব্যে আবদুল মান্নান চৌধুরী আরো বলেন, জয় বাংলা কথাটি সর্বক্ষেত্রে বলা উচিত। জাতীয় অ্যাস্যাম্বলিতে জয় বাংলা বলতে হবে। জয় বাংলা এর সাথে জয় বঙ্গবন্ধু শব্দটি অসমাপ্ত থাকে তা না হলে জয় বাংলা সাথে জয় বঙ্গবন্ধু থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় তুলে ধরতে লেখালেখি বা ছবি আঁকে, আর ক্যামেরায় ছবি তুলে ফোজিত শেখ বাবুর মতো কাজ করেন। আমি আজকের এই বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য নিয়ে ছবি প্রদর্শনীর জন্য ফোজিত শেখ বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।
ধানমন্ডি ৩২ এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে “শ্রদ্ধা” শিরোনামে এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আবদুল মান্নান চৌধুরী, সভাপতি কানাডা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ আবদুল গাফ্ফার, প্রধান আলোচক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান) ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষালসহ অন্য অতিথিদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর মাতা ফজিলা বেগম।
আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু দাবি জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিদেশি বন্ধুদের এই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার ছবি নিয়ে আগামিতে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধারাবাহিকভাবে আলোকচিত্র প্রর্দশনী করতে চাই।
ফোজিত শেখ বাবু আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে লন্ডনের মতো বিশ্বের সকল দেশে এই ধরনের বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য স্থাপন করা হোক এর ফলে দেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরো পৃথিবীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “শ্রদ্ধা” আর ভালোবাসার মানুষ হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন। বাঙালির জাতির পিতার প্রেমিকদের প্রদর্শনীর দেখতে আসার আহবান জানাই।
এছাড়া প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড এর প্রকাশক নন্দিনী লুইজা, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ পরিচালক, মাশনু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ মজুমদার, তৌহিদ মো. এলাহী, গণজাগরণ মঞ্চের নেতা মশিউদুর মজিদ অয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী আহসানা অঙ্গনা ও কাতার প্রবাসি লিয়াকত আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক সামিউল ইসলাম, ফটো সাংবাদিক রুবিনা শেখ প্রমুখ।